নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রাত পৌঁনে ৮টায় ঢাকা থেকে স্বজনরা বুরহানের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে পৌঁছে। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৮টায় চর ফকিরা ইউনিয়নের আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠানের নেতৃবৃন্দ, বুরহানের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা অংশগ্রহণ করেন। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এ সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খালা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) ৭ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি ২০২০ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স পাস করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছিলেন।
সমাজ বদলের স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় যুক্ত হন মুজাক্কির। দৈনিব বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠি ও এলাকাবাসী সবার মুখে মুখে রয়েছে তার সুনাম।
এদিকে নিহতকে দেখার জন্য এবং জানাজায় অংশ নিতে শোকে স্তব্ধ এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় মুজাক্কির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।